ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের সেকেন্দার আলমের করা উদ্দেশ্যমূলক মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দাবি করে এবং বাংলাদেশ কৃষকলীগ, ফরিদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা কৃষকলীগ।
রবিবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহীর হাতে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. প্রদীপ কুমার দাস লক্ষণ সাক্ষরিত এ স্মারকলিপি দেন কৃষকলীগের নেতারা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ মে মাে. সেকেন্দার আলম পবনবেগ নামক স্থানে হামলা শিকার হয়। বিষয়টি শুনে আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং হামলার জন্য নিন্দা জানিয়েছি। কিন্তু আহত পরবর্তীতে সেকেন্দার আলম দুস্কৃতিকারিদের চিহ্নিত করা ও শাস্তির কোন পদক্ষেপ না নিয়ে কোন এক বিশেষ মহলের পরামর্শক্রমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ কৃষক লীগ, ফরিদপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গােপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাে. মােনায়েম খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য যে, যে মােনায়েম খান উল্লেখিত দিন এবং সময়ে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে গােপালপুর বাজারে বিশিষ্ট ওষুধ ব্যবসায়ী লাভলু শিকদারের প্রয়াত পিতার নামে দোয়া মাহফিল ও ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মােনায়েম খান বাংলাদেশ কৃষক লীগ জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা। আমরা মনে করি কোন ধরনের তদন্ত ও বিচার বিশ্লেষণ না করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসামূলকভাবে জনপ্রিয় আওয়ামী লীগের নেতাদের হয়রানি করার জন্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি পুলিশ প্রশাসন যদি সঠিকভাবে তদন্ত করেন তবে আসল অপরাধিদের চিহ্নিত করতে পারবেন এবং প্রকৃত দোষীরা বেরিয়ে আসবে।
আমরা চাই সেকেন্দার আলমের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হােক এবং প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পাক। কিন্তু অকারণে নিরীহ কোন মানুষ যেন ভােগান্তির শিকার না হয় এবং শাস্তি না পায়।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা কৃষকলীগের সদস্য খান আমিরুল ইসলাম, মাহাবুব শেখ, আবিদুর রহমান, জেলা কৃষকলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খান কামরুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
উল্লেখ, গত ৬ মে সন্ধ্যায় গোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সেকেন্দার আলম শেখের ওপর উপজেলার পবনবেগ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওই হামলার ঘটনায় সেকেন্দার আলম বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মোনায়েম খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও গোপালপুর বাজার বণিক সমিতির সদস্যসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয়। সেকেন্দার আলম স্থানীয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন