ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে পাবনার কাজিরহাট ঘাট। বিশেষ করে বিকেলের পর থেকে কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এতে করে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে কিছুটা ভোগান্তিতে। তবে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ফেরির কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর নগরবাড়ি-কাজিরহাট ঘাট কার্যালয়ের পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল বলেন, “স্পিডবোট পারাপারে কিছু অভিযোগ পেয়েছি, অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার বিষয়ে ঘাট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।”
নাটোরের লালপুর থেকে সাভারে কর্মস্থলে ফিরছিলেন রাসেল হোসেন। তিনি বলেন, “ঘাটে যানজট পাইনি, তবে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট হচ্ছে। যাত্রীদের সঠিকভাবে সিরিয়াল মেইনটেইন করা হচ্ছে না, এতে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। প্রশাসন নজর দিলে সমস্যা সমাধান সম্ভব।”
তাড়াশ থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকার নবীনগরে যাচ্ছিলেন সোনিয়া খাতুন। তিনি বলেন, “তাড়াশ থেকে কয়েক দফায় গাড়ি পরিবর্তন করে ঘাটে এসেছি। গরমের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে। লঞ্চেও অনেক বেশি ভিড়, গরমও বেশি লাগছে।”
এদিকে ফেরি ও লঞ্চঘাটে আসা-যাওয়ার পথে ইজিবাইকসহ ছোট বড় যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও করেছেন যাত্রীরা। এক যাত্রী বলেন, “সাধারণত ইজিবাইকে ১০ টাকা ভাড়া লাগে, কিন্তু ছোট বস্তা রাখার কারণে ৪০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। ২০ টাকা দিতে চেয়েছি, তাও নেয়নি।”
শুক্রবার সকালে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম থাকলেও বিকেলের পর চাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে কাজিরহাট ঘাট থেকে আরিচা অভিমুখে কর্মস্থলে ফেরা মানুষে ভরে যায়। প্রচণ্ড গরমের কারণে যাত্রীরা কিছুটা অতিষ্ঠ হলেও ফেরি ও লঞ্চ পারাপার স্বাভাবিক ছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাজিরহাট ঘাটের পাশে নদীতে চালকের অসাবধানতায় একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। যাত্রীরা কেউ সাঁতরে, কেউ অন্য বোটের মাধ্যমে উদ্ধার হলেও সবাই ভেজা পোশাকে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।
পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল আরও জানান, “কাজিরহাট ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এ নৌপথে ১৫টি লঞ্চ, ৫টি ফেরি এবং অর্ধশতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। নির্বিঘ্ন যাত্রী পারাপারে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক