শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত মাদ্রাসা ছাত্র ফারদিন আহমেদ ইয়াসিন মৃধা (১৪) মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা রাজধানীর কাকরাইলের অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে টানা ৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত ইয়াসিনের কাকা সিদ্দিক মৃধা।
নিহত ইয়াসিন আহমেদ ফারদিন ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হানিফ মৃধার ছেলে। সে স্থানীয় গৈড্যা এম.এস. ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা, রড এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাকিম, কনস্টেবল জাহিদ, ছাত্রদল নেতা পন্নী কাজী, এনাম, সোহান, লিখন বেপারী, মবিন ও ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পরদিন ঈদের দিন ইয়াসিন মৃধা বমি করতে থাকলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৬ দিন চিকিৎসা শেষে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইয়াসিনের কাকা সিদ্দিক মৃধা বলেন, ইয়াসিন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। সে রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। যারা পরিকল্পিতভাবে ইয়াসিনকে হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আহম্মেদ সেলিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। ইয়াসিন আহমেদ ফারদিন নামে একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল