নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাবা-ছেলেসহ ৩ জনকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে কিশোর সন্ত্রাসী ইভনকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসীকে ধাওয়া করে সহযোগীরা ইভনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
কিশোর সন্ত্রাসী ইভন ইসদাইর এলাকার আজম বাবু ওরফে জামাই বাবুর ছেলে। ইভনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় আলোচিত ফুটবলার রাসেল হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী হোসেন আলী জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ইভন কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে এক কিশোরকে মারধর করছে। তখন গনি মোল্লা নামে এক বৃদ্ধ প্রতিবাদ করেন এবং কিশোরকে ছেড়ে দিতে ইভনকে অনুরোধ করেছে। তখন ইভন ওই কিশোরকে ছেড়ে দিয়ে বৃদ্ধ গনি মোল্লাকে মারধর করতে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এসময় গনি মোল্লার ছোট ছেলে হানিফ ও তার বন্ধু রুবেল এগিয়ে এসে ইভনকে থামতে বলেন। এতে ইভন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হানিফ ও রুবেলকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে রুবেলের বাম পায়ে ছুরিকাঘাত করে এবং ঘুষি দিয়ে তিনটি দাঁত ফেলে দেয়। এসময় তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ইভন ও তার এক সহযোগিকে গণধোলাই দেয়। তখন খবর পেয়ে ইভনের সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্র হাতে এলাকাবাসীকে ধাওয়া করে। তখন এলাকাবাসী দূরে চলে গেলে ইভন ও তার সহযোগিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা। আহত রুবেলকে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে ইভন। এলাকায় কেউ ব্যবসা বাণিজ্যও করতে পারে না তার জন্য।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। তারপরও খোঁজ খবর নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন