পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে দিশেহারা মুন্সীগঞ্জ চরাঞ্চলের শিলই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। প্রতিবছরের পদ্মার ভাঙ্গনে কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বিস্তির্ন কৃষি জমি ও বসতভিটা। এবার বর্ষার শুরুতে তীব্র ভাঙ্গন দেখায় দেয় ইউনিয়নটির ৩ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে। একটি স্থায়ী বাঁধের দাবি জানিয়ে আসলেও বারবার হতাশাগ্রস্ত হতে হচ্ছে ভাঙ্গন কবলিতদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের শিলই ইউনিয়নে দীর্ঘ কয়েকবছর যাবত পদ্মার ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।সেখানে প্রতিদিন বিস্তিন্ন ত্রি-ফসলি কৃষি জমি বিলীন হচ্ছে পদ্মাগর্ভে। বিগত কয়েকদিন প্রায় ১২ একর কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন হুমকিতে রয়েছে শতশত বসতবাড়ি ও কৃষি জমি। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে শিলই ইউনিয়নের অস্তিত্ব।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বছরের পর বছর ভাঙছে। ভাঙ্গন রোধে শুধু প্রতিশ্রুতি পাই আজও ভাঙ্গন রোধে কেউ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
কৃষকরা জানালেন, আমাদের কৃষিজমিগুলো দিনে দিনে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে। এখন যেটুকু আছে তাও ভেঙ্গে পড়ছে নদীগর্ভে। দ্রুত স্থায়ী বাধ নির্মাণ করা না গেলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে না।
বিগত কয়েক বছর যাবত ভাঙ্গছে পদ্মা। এবারে ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে ইউনিয়নের ১২ একর কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে। দ্রুত ভাঙ্গন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে এই ইউনিয়নের কৃষি জমি হারিয়ে যাবে বেকারত্ব বাড়বে এমনটা জানালেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম লিটন।
তবে ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা