মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভূমিহীন-গৃহহীন ক্ষতিগ্রস্ত যাদের জমি আছে ঘর নেই এমন ১২৫টি পরিবার পেয়েছেন সেমি পাকা ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার নতুন স্বপ্নের ঠিকানা দু’কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর পেয়ে আনন্দিত উপকারভোগীরা।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় কাশিনগর ইউনিয়নে ২৮টি ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ২২টি ঘর উপকারভোগীরা বুঝে পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কাশিনগর ইউনিয়নের উপকারভোগী সাজেদা বেগম বলেন ‘সন্তানদের নিয়ে পরের জমিতে থাকতি হবে না’, আমরা পরের ভিটায় থাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে জমিসহ ঘর দেছে। আমার সন্তানদের নিয়ে পরের জমিতে থাকতে হবে না। এখন আমি আর ভূমিহীন ঘরহীন না। আমি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করি। চৌদ্দগ্রামের এমপি মুজিবুল হক, প্রশাসন ও কাশিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ, ওনাদের সহযোগিতার কাছে আজ আমি পরিবার নিয়ে নতুন ঘরে আছি।আবুল খায়ের নামে অপর একজন উপকারভোগী বলেন, ‘আমার জায়গ-জমি ছিল না। নদীর পাড়ে থাকতাম। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। এখন আমাদের মা জননী হাসিনা জায়গা দিয়েছে, ঘর দিয়েছে আমি তাতে অনেক খুশি। তার জন্য নামাজ পড়ে মোনাজাত করব। আমাদের মতো গরিবদের পাশে যেন সে সারাজীবন থাকতে পারে। আমাদের চোখের পানিটা যেন মুছে যায়। দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী সারা পৃথিবীর কাছে সম্মান পায়।’
হাজেরা বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘আমাদের সংসারে পাঁচজন লোক। মাঠে ঘাটে কাজ করে খাই। আমার কোনো জমি নেই। প্রধানমন্ত্রী জমি দেছে, ঘর দেছে। এ পেয়ে আমি খুব খুশি। বিনামূল্যে জমি-ঘর পাব কোনোদিন ভাবিনি।’
কাশিনগর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পরির্দশনে এসে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নির্বাহী অফিসার এসএম মনজুরুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদানের উদ্যোগ নেন। তারই অংশ হিসাবে কুমিল্লা জেলায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২য় ধাপে ১৮৫টি ঘরের মধ্যে ১২৫টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। ঘরে কাজ অনেক ভালো হয়েছে, নতুন ঘরে উপকারভোগীরা অনেক খুশি। বাকি পরিবারকে দ্রুততম সময়ে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে।
কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বলেন, ভূমিহীন-গৃহহীনদের জমিসহ ঘরে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নে ২৮টি ভৃমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দয়া ও চৌদ্দগ্রামের নেতা সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের সহযোগিতায় জমিসহ ঘর পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড স্যারের দিকনির্দেশনায় ও পরামর্শে ২২টি পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার নতুন ঘরে উঠে এখন খুশিতে আত্মহারা। আমরা তাদেরকে ভিজিডি কার্ড করে দিয়েছি এবং হাঁস, মুরগি পালন করে তারা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে আমরা উৎস প্রদান করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন