তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত ও যানবাহনের চাপের কারণে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বিঘ্ন ঘটার কারণে ঐ রুটের যানবাহনের চাপ বৃদ্ধিতে এ রুটে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলেও ভোগান্তি কমছে না দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় থেকে ফেরি পার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রী ও চালকরা। নিদিষ্ট সময়ে গন্তেব্যে পৌছাতে পারছেন না তারা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলাচল করে। ফেরিগুলোর মধ্যে ১১টি রো-রো ফেরি রয়েছে। পাটুরিয়া প্রান্তের ডকইয়ার্ডে মেরামতের অপেক্ষায় রয়েছে শাপলা শালুক ও শাহ আলী নামের আরও দুইটি ফেরি। যেকোন সময় এই দুইটি ফেরি বহরে যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার দুুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফোর লেন এলাকার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার দুই লেনে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহন ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে এই মহাসড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কল্যাণপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান আটকে পড়েছে।
ফেরিঘাটে আসা বাসযাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, এই নৌরুট নিয়ে সরকারের সঠিক পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাচ্ছে এই নৌরুট দিয়ে আসা যাত্রীরা। তারা বলেন, সঠিক সময়ে গন্তব্যে কোনভাবেই পৌঁছানো যাচ্ছে না। ঢাকায় কোনো কাজ থাকলে একদিন আগে ঢাকায় গিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।
গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে পড়া কাভার্ড ভ্যান চালক মো. আজিমুদ্দিন শেখ বলেন, আমাদের কষ্টের শেষ নেই, এ যেন নরকপুরি। গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আমাদের ট্রাক আটকে দেয় পুলিশ। এখানে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকে থাকতে হয়। এখানে খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে হয়। গোসল এবং টয়লেটের চরম সমস্যা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিসির) সহকারী ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে এ রুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করে। যানবাহনের চাপ না থাকলে দৌলতদিয়া প্রান্তে ভোগান্তি সৃষ্টি হতো না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল