নোয়াখালীর হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়ন ও জাহাজমারা ইউনিয়নে দুটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় দুই প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করেছে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ।
আটককৃতরা হলো হরনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, সহকারী প্রিজাইর্ডি কর্মকর্তা মো.বেলায়েত হোসেন। হোসাইনিয়া মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আহমেদ রাফি, পশ্চিম সোনাদিয়া চর ঈশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্ল্যা। আটককৃত পোলিং অফিসাররা হলো দক্ষিণ-পূর্ব কালাম মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পোলিং অফিসার মুন্নি বেগম, মধ্যম মাইজচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পোলিং অফিসার ফারজানা আক্তার।
সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহবুব ও বেলায়েত আটক করা হয়। অপর ২ প্রিসাইডিং ও ২ পোলিং অফিসারকে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানান, সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ভোটারবিহীন অবস্থায় বিভিন্ন মার্কায় সীল মারছে। এ সময় সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.কামরুল হোসেন চৌধুরী দুই সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অপরদিকে, অপর ২ প্রিসাইডিং ও ২ পোলিং অফিসারকে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুল হক।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা যে সিন্ধান্ত দিবে ওই অনুসারে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন