শিরোনাম
১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৪৩

শাজাহানপুরে ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ মেম্বার প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

শাজাহানপুরে ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ মেম্বার প্রার্থী

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস বাস্তবে জীবিত হলেও ভোটার তালিকায় ‘মৃত’। আগামী ২৮ শে নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করেছেন তিনি।

আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস উপজেলা আড়িয়া ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডের মানিকদিপা বিন্নাচাপড় গ্রামের আব্দুল গফুর ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাপী নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

আড়িয়া ইউনিয়ন বেশ আলোচিত ২নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে সদস্য পদে বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান, আব্দুল বাসেদ রঞ্জু ও ভোট তালিকায় মৃত সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস আগামী ২৮ শে নভেম্বর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আব্দুল মোতালেব এর নাম ভোটার তালিকা মৃত থাকায় মেম্বার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই। 

গত নির্বাচনে একই গ্রামের আব্দুর রহমান সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস মাত্র ১৪৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এ বার পুনরায় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আগে থেকেই মাঠে আছেন সাবেক এই ইউপি সদস্য। 

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যদি কোনো ব্যক্তি মারা যান তাহলে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়দের পক্ষ থেকে নির্বাচন কার্যালয়কে জানাতে হয়। পরে নির্বাচন কার্যালয় থেকে একজন মাঠকর্মী সেটির তদন্ত করে দেখেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার যাচাই-বাছাই প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মৃত্যু কারণে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে হলে ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদও লাগে।

ভোটার তালিকায় মৃত সাবেক ইউপি সদস্য ছেলে রাসেল আহমেদ বলেন, আমার বাবার নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কোভিড-১৯ টিকা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও ভোটার তালিকায় নম্বরের খোঁজ করতে গিয়ে নাম মৃত তথ্য পায়। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।

ভোটার তালিকা মৃত সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিস আমাকে জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়েছে। আমি নাকি মৃত। এটাও সম্ভব! তারপরও আমি নির্বাচন অফিসে সংশোধন জন্য অবেদন করেছি। গত বছর সামান্য ভোটের কারণে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছি। এবারও নির্বাচনের জন্য আগে থেকেই মাঠ পর্যায়ে সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে মৃত বানিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এক প্রতিপক্ষ এমন কাজ করতে পারে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল হোসেন বলেন, আব্দুল মোতালেব ভোটার তালিকায় মৃত দেখায় আমরা নির্বাচন অফিসের মেইন সার্ভারে সংশোধন জন্য আবেদন পাঠিয়েছি। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর