১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:২০

রাতের আঁধারে চলছিলো বিদ্যালয়ের ঢালাই কাজ, অতঃপর...

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

রাতের আঁধারে চলছিলো বিদ্যালয়ের ঢালাই কাজ, অতঃপর...

ভিডিও থেকে সংগৃহীত ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল রাতের আঁধারে। মূল ভবনের কলাম ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। নিয়মবহির্ভূত ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা রাতেই তা বন্ধ করে দেয়। এ সময় এ কাজের ভিডিও ধারণ করেন তারা। 

সোমবার রাতে উপজেলার হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিও ভাইরাল হলে মঙ্গলবার সকালে কাজটি পরিদর্শনে যান উপজেলা প্রকৌশলী হাসান ইবনে মিজান ও উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল জলিল। এ সময় নিম্নমানের কাজ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সামনে তা ভেঙে দিয়ে আসেন উপজেলা প্রকৌশলী। ৭২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এ কাজে ঠিকাদারির দায়িত্বে ছিলেন মের্সাস উচ্ছ্বল কন্সট্রাকশন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রাতের বেলায় বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে নিভু নিভু আলো জ্বালিয়ে কাজ করছিলো কয়েকজন শ্রমিক। সেখানে গিয়ে দেখা যায় নিম্নমানের ইটের খোয়া, বালি ও অল্প পরিমান সিমেন্ট দিয়ে কাজ চলছে। জিজ্ঞাস করলে শ্রমিকরা জানায় ঠিকাদারের লোকজনের নির্দেশেই রাতের বেলায় কাজ করা হচ্ছে। পরে তা ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। নির্মাণ কাজে অনিয়ম করার জন্যই ঠিকাদারের লোকজন রাতের বেলায় ঢালাইয়ের কাজ করছিলো বলে স্থানীয়দের ধারণা। নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময় এলজিইডির অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও রাতের বেলায় কেউ উপস্থিত ছিল না বলে স্থানীয়রা জানায়।

স্থানীয়রা আরও জানায়, কাজের শুরু থেকেই বিদ্যালয় ভবনে কাজের সময় একজন প্রকৌশলী থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ সময় উপস্থিত থাকেন না।  শ্রমিকরা ইচ্ছে মতো কাজ করে আসছিলো। নির্মাণ কাজে যে অনুপাতে সিলেকশন বালু ব্যবহার করার কথা তা করছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

এ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস উচ্ছ্বল কন্সট্রাকশনের সহযোগী নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী হাসান ইবনে মিজান বলেন, আমাদের অজান্তেই রাতের বেলায় কাজ চলছিলো। সকালে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে স্থানীয়দের সামনেই নিম্নমানের কাজটুকু ভেঙে দিয়ে আসছি। বর্তমানে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর