২৬ অক্টোবর, ২০২১ ২১:২০

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত দু'জন

নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোবালীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। 

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসন দীপু সমর্থক শাহ আলম (৪৫) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদউল্লাহ সমর্থক কাইয়ূম মিয়া (৩০)। তারা দুইজনেই সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিছেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন দেলোয়ার হোসেন দীপু। একই সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এড. আসাদউল্লাহ। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পান দেলোয়ার হোসেন দীপু। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন এড.আসাদউল্লাহ। 

তবে দলীয় চাপে মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে দেলোয়ার হোসেন দীপুকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন এড. আসাদউল্লাহ। এতে আসাদউল্লাহ সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল। 

অন্যদিকে, আসাদউল্লাহর মনোনয়ন প্রত্যাহারের খবরে দীপুর সমর্থকরা এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করে। এ সময় দীপুর সমর্থকদের সাথে আসাদউল্লাহ সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। 

এ ব্যাপারে দেলোয়ার হোসেন দীপু বলেন, গত ১৫ দিন আগে সালাউদ্দিন নামে আমার এক সমর্থককে একা পেয়ে আসাদউল্লাহর সমর্থকরা তাকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। আজকে আসাদউল্লাহ মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর তার সমর্থকরা গ্রামে ফিরে এসে আমার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার ৭ জনের মতো আহত হয়েছে। 

অপর পক্ষের নেতা আসাদউল্লাহ বলেছেন, আমার সাথে দীপু চেয়ারম্যানের কোনো বিরোধ নেই। আমি দীপু চেয়ারম্যানকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা তদের ব্যক্তিগত। জমিজমা নিয়ে দীপু সমর্থকদের সাথে শুক্কুরালী নামে গ্রামের আরেক জনের মারামারি হয়েছিল। সে ঘটনার জেরে আজকে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ইউপি নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে। ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে গেছে। তবে কতজন আহত হয়েছে এখনো তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ গিয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর