রাজবাড়ীর সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মিয়াকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী শেফালী খাতুন শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার কিছুক্ষণ পর ৮ জনের নাম উল্লেখ সহ ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বানিবহ গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোর্শেদ (৩৫), আবুল হোসেনের ছেলে সীমান্ত (২৫), ঘিমোড়া গ্রামের হাসেম মোল্ল্যার ছেলে মনির (৩৫), হাসেম মোল্ল্যার ছেলে লিটন (৩২), বানিবহ ইউনিয়নের হান্নান মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া (৫৭), বার্থা গ্রামের আহাদ আলী মুন্সীর ছেলে লিটন (৩২), বানিবহ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মুন্সি (৩১), বৃচিত্রা গ্রামের জুবায়েরর ছেলে জাকারিয়া (২৬)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, লতিফ মিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এবং চতুর্থধাপের নির্বাচনে তার জয় সুনিশ্চিত ছিলো। সেই কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহদত হোসেন বলেন, লফিত মিয়া হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রাজবাড়ী সদর থানার উপ পরিদর্শক হিরণ কুমার বিশ্বাস তদন্ত করবে। আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে বানিবহ ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামে নিজ বাড়ীর কাছে তিন রাস্তা মোড় এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা