৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:৫১

সাতক্ষীরা হানাদার মুক্ত দিবস আজ ৭ ডিসেম্বর

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা হানাদার মুক্ত দিবস আজ ৭ ডিসেম্বর

চারিদিকে শত শত স্বজন হারানোর ব্যথা এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সহকর্মী হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে পাক হানাদারদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে শত্রু মুক্ত করেছিল সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা। পাকিস্তানী পতাকায় ছাত্র জনতার অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র লুট ও ব্যাংক অপারেশন করে সংগৃহীত অর্থ নিয়ে ৭১ এর মার্চে মাতৃভূমিকে শত্রু মুক্ত করতে এ জেলার দামাল ছেলেরা যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিল তারই সফল সমাপ্তি ঘটে ৭ ডিসেম্বর।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশের সর্ব দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তের জেলা সাতক্ষীরার মাটিতে সগৌরবে মুক্তিযোদ্ধারা সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে প্রথম উত্তোলন করে বিজয় নিশান স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা। মুক্তির আনন্দ-উদ্বেল উচ্ছ্বাস নবজন্মের সেই মুহূর্তকে তারা বরণ করে নিয়েছিল হৃদয়ের সমস্ত ভালবাসা দিয়ে। ৭১ এর এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে দখলদার পাকবাহিনী সাতক্ষীরা ছাড়তে বাধ্য হয়। সে দিন ৭ ডিসেম্বর শত্রু মুক্ত হয় সাতক্ষীরায়।

বিজয়ের গৌরবে ৭১ এর এই দিনে যুদ্ধাহত মানুষ আনন্দে উচ্ছলিত হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে  সেদিনের সাহসী সন্তানরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। পাক হানাদার ও তাদের দোসররা মা-বোনের ইজ্জত হরণ করেছিল। ধ্বংস করতে চেয়েছিল বাঙ্গালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে। শত্রুর বুলেটের এত সব আঘাত সহ্য করেও সাতক্ষীরার সন্তানরা অন্তত: ৫০টি যুদ্ধের মোকাবেলা করেছিল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ শত্রুর ঘাঁটি দখল ,শত্রু বিতাড়ণ ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে ৭ ডিসেম্বরের বিজয় অর্জনের সেই দিনটি ছিল আনন্দ মিশ্রণের এক ইতিহাস গাঁথা ঐতিহাসিক দিন।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সাতক্ষীরার বধ্যভূমি এবং গণকবরগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অযত্ন আর অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে বধ্যভূমি ও গণকবরের স্মৃতিচিহ্ন। এগুলো যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। তাই বধ্যভূমি ও গণকবরের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ব নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধারা।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর