শিরোনাম
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
- ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
- রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
- আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- দুর্গাপূজা ঘিরে স্বৈরাচারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : তারেক রহমান
- র্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
- ‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
- শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
- ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
- ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন
- ‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
- ফেব্রুয়ারিতেই স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের হুমকি নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
মাগুরায় নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে মাগুরা মুক্ত দিবস
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

আজ ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় সকাল থেকে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
সকালে নোমানী ময়দানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুন্ডু, পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুলসহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। এসময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুজ্জামান শিখর এমপি বলেন, ‘আজ আমাদের সবচেয়ে গৌরবের দিন। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দিন মাগুরাকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ার যে কাজ বঙ্গবন্ধু শুরু করে গেছেন তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তা শতভাগ সফল করা। যা অনেকাংশে আমরা ইতিমধ্যে সফল করেছি। তবে এটিকে নস্যাত করার জন্য স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা এখনো নানা ষড়যন্ত্র করছে। সাবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করতে হবে’।
বিকালে নোমানী ময়দানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মাগুরা শত্রুমুক্ত হবার প্রেক্ষাপট ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে ভার্চ্যুয়ালী সংযুক্ত হবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এমপি। সন্ধ্যা ৬ টায় অনুষ্ঠিত হবে ব্লাক আউট কর্মসূচি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে শ্রীপুরের আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে। গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমনের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্তির আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যমত সংগঠক ভারতের রানাঘাট যুব ক্যাম্পের ইনচার্জ এমপি আছাদুজ্জামান মাগুরার মুক্তি বাহিনীকে দিক নির্দেশনা, যুদ্ধাস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করতেন।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুজ্জামান বাচ্চু জানান, ৭ ডিসেম্বর বিকেলে সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আছাদুজ্জামান মিত্রবাহিনীর দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাপতি মেজর চক্রবর্তীর সাথে সাজোয়া যানে মাগুরায় প্রবেশ করেন। মাগুরা নোমানী ময়দানে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুজকাওয়াজে আছাদুজ্জামান অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকহানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
এই বিভাগের আরও খবর