লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৭ জনের লাশ আনা হয় বরগুনায়। এর মধ্যে ১৪টি লাশ শনাক্ত করে পরিবার নিয়ে যায়। বাকি ২৩ লাশ শনাক্ত করার মতো অবস্থায় না থাকায় ডিএনএ রেখে গণজানাজার মাধ্যমে দাফন করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার বেলা ১১টায় বরগুনা সার্কিট হাউজ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ৩৭টি মৃতদেহ বরগুনা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধির নিকট হস্তান্তর করেন। দাফনের পূর্ব পর্যন্ত ১৪টি লাশ পরিচয় সনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়।
বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত থেকে স্বজনদের সহানুভূতি জানান। এসময় তিনি বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে নিহতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন।আহতদের চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে রয়েছি।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযান-১০ ট্র্যাজেডিতে নিহত এবং আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বরগুনার নাগরিক। ইতোমধ্যে পাঁচ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানাজার মাঠে আরও তিনজনকে শনাক্ত করে তার পরিবার। তাই তাদের মাঠেই লাশ হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ২৩টি মরদেহ শনাক্ত করার মতন অবস্থায় না থাকায় সম্মিলিত জানাজার মাধ্যমে পোটকাখালিতে লাশ দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার এবং আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল