বরগুনার ঢলুয়ান ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে লাশ হলেন মনোয়ারা বেগম (৬০)।
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে করে বেয়াই বাড়ি যাওয়ারকালে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান মনোয়ারা বেগম। একই সঙ্গে মারা গেছেন ছেলের স্ত্রী রুমা (২৪) ও নাতনি অহনা (৫)।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বেয়াই হাসেম সর্দারের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাদের চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে নাতি ইমন (১২) ও জীবন (৮)। এছাড়াও অগ্নিদগ্ধ হয়ে রাজধানীতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগমের ছেলে কালু (৩০)।
মনোয়ারা বেগমের ছেলে মুকুল দাফনের পূর্ব মুহূর্তে মা, ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাইজির মরদেহ শনাক্ত করেন। এ সময় কবরস্থান এলাকায় আগতরা অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
এ সময় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান দাফন বাবদ তার হাতে ৭৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মুকুল বলেন, ১৫ বছর পূর্বে আমাদের বোনের বরগুনায় বিয়ে হয়। আমাদের বাড়ি মাদারীপুর হলেও আমরা মাকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করি। লঞ্চে আগুন লাগার পর থেকে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি আসি। দাফনের আগেই তিনজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি।
গত বৃহস্পতিবার বরগুনার ঢলুয়ান ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামের বেয়াই হাসেম সর্দারের বাড়িতে ছেলে, ছেলের বউ আর তিন নাতি নিয়ে সদরঘাট থেকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে করে রওয়ানা দেন মনোয়ারা বেগম।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন