বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল মান্নানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত দশজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে কাফুরা পূর্বপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের কর্মী-সমর্থকরা কাফুরা পূর্বপাড়াস্থ তাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে মোরগ মার্কার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময় নির্বাচনের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মান্নানের কর্মী-সমর্থকরা তাদের ফুটবল প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষই মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে প্রচারণা চালাতে থাকলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে। এতে উভয়পক্ষের লোকজনই আহত হন।
প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সশস্ত্র লোকজন তার নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে পাঁচজন কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম নামে একজনের অবস্থা গুরুতর। ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকি আহত মঞ্জুর রাহী, আব্দুল গণি, আব্দুল্লাহ ও সুজন মিয়া স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি ঘটনার রাতেই থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মান্নান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। এমনকি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার জন্যও হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ভাবেই সফল না হয়ে এখন হামলা-ভাঙচুরের পথ বেছে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন আমার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া দেওয়া হয়। এতে বাধা দেওয়ায় আমার পাঁচজন কর্মীকে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর