প্রাণনাশের ভয়ে কালীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেও শেষ রক্ষা হয়নি পীর আলী (৩৩) নামে এক নৈশ প্রহরীর। সাধারণ ডায়েরি করার ২০ দিনের মাথায় আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শৈলপ্রহরী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাস্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ছামছুল আলীর ছেলে ও ১নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী ছিলেন।
জানা যায়, গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় পীর আলী। এরপর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি সে। সকালে পথচারীরা বাড়ির পার্শ্ববর্তী নলভাঙ্গা খালের ধারে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে নলভাঙ্গা গ্রামের এক মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শাহিনুর রহমানের পা কেটে ফেলে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এরপর বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর আদালত থেকে স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলা করা হয়। সেই মামলায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন কোর্ট। এর প্রেক্ষিতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে।সেই সময় থেকে পরবর্তী ৬ মাস শাহিনুরের বাড়িতে পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা ছিল। এই মামলার ১নং সাক্ষী ছিল নিহত পীর আলী। আসামিরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পীর আলীকে নানা ভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এ কারণে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে পীর আলী নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এই ঘটনার জের ধরেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে।
কালীগঞ্জ বারো বাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মকলেচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশটি একটি গাছের নিচে পড়ে ছিল। তার গলায় রশি পেঁচানো এবং একটি ডালের সাথেও রশি জড়ানো ছিল। তবে গায়ে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তাই এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর