ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড গুপ্তমুন্সী গ্রামে রাতে আঁধারে ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভোলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো. শাহাজাহান পণ্ডিত।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় মো. বাসু ও মো. শফি গংদের নামে জমি দখলের এ অভিযোগ তুলেছেন শাজাহান পণ্ডিত। অভিযোগের ভিত্তিতে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজের কাছে তদন্তভার দিয়েছেন ভোলা এসপি।
ভুক্তভোগী শাহাজাহান পণ্ডিত অভিযোগ করে বলেন, আমি গত ৫০ বছর যাবত গুপ্তমুন্সী মৌজা ৩৩ নম্বর চাটে এস এ ৭০২ এবং ৭০৩ নম্বর খতিয়ানে একই দাগ ৪৬৬১-এ ১ দশমিক ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করার পর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছিলাম। যার বর্তমান বি এস খতিয়ান নম্বর ১১২৯, দাগ নম্বর ৬০৫২ এবং সিমানা চৌহুদ্দি পশ্চিমে ইলিশা ভোলা মহাসড়কের পূর্বে খাল, দক্ষিণে কাজীবাড়ির উত্তরে এস এ খতিয়ান নম্বর ৪৬৩৮ দাগ, ডিপি কেইস ৩৪/৭৩-৭৪ এর আওতাভুক্ত। কিন্তু আমার প্রতিবেশী বাসু, শফি ও বনি আমিন গংরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ৩টার দিকে ২৫-৩০ জন এলাকার চিহিৃত ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমার ভোগদখলীয় জমি দখলসহ ওই জমিতে থাকা আমার ছেলের ব্যবসায়িক লক্ষাধিক টাকার স্যানেটারি মালামাল লুট ও ভাঙচুর করে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে যোগাযোগ করলে অবৈধ দখলকারী দু’জনকে গ্রেফতার করে নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখে পুলিশ।
এছাড়া আমি ভোলার এসপি সাহেবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে, তিনি ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকের কাছে এর তদন্তভার দেন।
এসআই সিদ্দিক সরজমিনে এসে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে আমাদের দু’পক্ষকে কাগজ পত্রনিয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বসার জন্য তারিখ দেন।
এদিকে, আমার বিবাদী পক্ষ এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শনিবার (৫ মার্চ) পুনরায় সংঘবদ্ধ হয়ে ঘর নির্মাণের জন্য চেষ্টা করছেন।
অভিযোগের ঘটনায় বাসু ও শফি গংদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্তদের ভাই মিলন মিস্ত্রি জানান, ওই জমি শাহাজান জোর করে এতদিন ভোগদখলে রেখেছিলেন। বর্তমানে আমাদের জমিতে আমরা ঘর তুলেছি। তবে এ সময় রাতের আঁধারে ঘর তুলেছেন কেন? এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সিদ্দিক বলেন, রাতের আঁধারে ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে এসপি স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাময়িকভাবে ওই জমির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দু’পক্ষের সব কাগজপত্র নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে বসার জন্য তারিখ নির্ধারণ দেওয়া হয়েছে। তারা এলে দু’পক্ষের কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে সঠিক সমাধান দেওয়া হবে। তবে এর আগে কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেন, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: বাংলানিউজ
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন