পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গলাচিপা-ঢাকা রুটের দোতলা লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। গত ৯ মার্চ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পটুয়াখালী জেলা বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তার কাছে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে শুক্রবার ভোর চারটার দিকে ঢাকা থেকে আসা এমভি পূবালী-৫ লঞ্চটি পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে ভায়া ঘাট দিলে স্থানীয় প্রশাসন সকল যাত্রীদের পটুয়াখালী নেমে নিজেদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এ খবর লঞ্চ যাত্রীদের কাছে পৌঁছালে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে গলাচিপা পৌর এলাকাসহ শতাধিক ব্যবসায়ীর পণ্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পরিবহণ করতে হয়েছে। এ ঘটনায় আগে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএ এর উপ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান। এদিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গলাচিপা, আমখোলা, কলাগাছিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। এতে যাত্রী, ব্যবসায়ী ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু সেক্রিফাইস করতে হয়-এমনটা জানিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
জানা গেছে, গলাচিপা টু ঢাকা ভায়া আমখোলা, কলাগাছিয়া, পটুয়াখালী ও বগা রুটে এমভি পূবালী-৫, এমভি বাগেরহাট-২, এমভি আসা-যাওয়া-১ ও এমভি জামাল-৫ এ চারটি দোতলা লঞ্চ চলাচল করে। কিন্তু পটুয়াখালী-লোহালিয়া স্থানে এলজিইডি একটি ব্রিজ নির্মাণাধীন রয়েছে। ব্রিজের মাঝখানের অংশের কাজের জন্য পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার ভোর চারটার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে যাত্রীবাহী এমভি পূবালী-৫ লঞ্চটিকে পটুয়াখালী ঘাটে আটকে দেয়া হয়। হাঠাৎ এ সিদ্ধান্তে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে লঞ্চে থাকা তিন শতাধিক যাত্রী ও আটকে যায় ব্যবসায়ীদের পণ্য। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের পণ্য গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হলেও ভোগান্তির শিকার হন লঞ্চে থাকা নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএ এর উপ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, গলাচিপার দোতলা লঞ্চ বন্ধের জন্য আমরা কোন নির্দেশনা দেইনি। লোহালিয়া ব্রিজের কাজের জন্য গত ৯ মার্চ জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে দোতলা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়। কিন্তু আসছে রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গলাচিপা এলাকার যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকার হবে। আমরা বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমরা সব ধরণের লঞ্চের চলাচল সচল রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্রিজের সেন্টারিং ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্ধ করতে হয়েছে। উন্নয়নের জন্য সেক্রিফাইস করতে হবে। এছাড়া ছোট ছোট নৌ যান চলাচল করবে। আগামী আড়াই মাস পর এ রুটে স্বাভাবিকভাবে নৌ চলাচল করতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল