বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবনের কাছে লোকালয়ের একটি বসতঘরে হরিণের চামড়া রেখে এক জেলেকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধ্য সোনাতলা গ্রামের মৃত ছোমেদ মুন্সির ছেলে সুমন মুন্সির বাড়িতে। পারস্পরিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা এমনটি ঘটিয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।
এলাকাবাসী জানায়, গত ১১ মার্চ দুপুরে সুমন মুন্সি মাছ ধরার কাজে নদীতে অবস্থান করছিলেন। তখন তার স্ত্রীও বাড়িতে ছিলেন না। এমন সময় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন অফিসার বনরক্ষীদের নিয়ে সুমন মুন্সির ঘরের মাচা থেকে দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে।
সুমন মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, তিনি একজন দরিদ্র জেলে। সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবেশী রুস্তুম মল্লিকের ছেলে সোহাগ মল্লিকের সঙ্গে তার বিরোধ রয়েছে। সোহাগের নামে একাধিক হরিণ শিকারের মামলা রয়েছে। সে বিভিন্ন সময় তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। তার ধারণা, সোহাগই তাকে ফাসাঁতে গোপনে ঘরের ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে হরিণের চামড়া দুটি রেখে বনবিভাগকে খবর দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা আবু রাজ্জাক আকন জানান, সুমন নিরীহ স্বভাবের ছেলে। তাদের ধারণা শত্রুতা করে তার ঘরে হরিণের চামড়া রাখা হয়েছে। এ ঘটনার তারা তীব্র নিন্দা জানান এবং বিষয়টি সর্তকতার সঙ্গে তদন্তের জন্য সুন্দরবন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান। তাদের অভিযোগ বিগত দিনে এই এলাকায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ঘরে হরিণের চামড়া রেখে বনবিভাগকে খবর দেয়ার একাধিক ঘটনা রয়েছে। এ রকমের একটি ফাঁসানোর চেষ্টা গত বছর র্যাব-৬ এর হাতে ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ বলেন, হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক কিনা তা সঠিক অনুসন্ধান করার জন্য স্টেশন কর্মকতার্কে ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্টেশন কর্মকর্তা রিপোর্ট পেলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত