ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, প্রতিটি ঘর ও পরিবারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করতে হবে, আর এতেই শিশুরা যথার্থ শিক্ষিত হয়ে উঠবে। কোনো শিশুই যেনো পেছনে পড়ে না থাকে, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝড়ে না পড়ে-সেটাই শিক্ষকদের মূল দর্শন হওয়া উচিত।
তিনি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামে ১৭তম শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশুমেলার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, শিশুদের ভেতর অসাম্প্রদায়িক-মানবিকতা-উদারতার বীজ বপন করতে হবে, ওরা যেনো কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক-অমানবিক না হয়ে উঠে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকার যে বরাদ্দ দেয় তা ব্যয় নয় বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগে বঙ্গবন্ধু সরকারের দর্শনকে অনুসরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারলেই তাকে প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে। রাজনৈতিক দর্শন ও শিক্ষা দর্শন পৃথক হলেও এর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। তিনি শিশুদের শ্রেণীকক্ষের বাইরে গিয়ে প্রকৃতিপাঠ-সংস্কৃতিচর্চা ও খেলাধুলার প্রতি আরো বেশী যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ও শিশু মেধাবৃত্তি-শিশুমেলার সভাপতি প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনার্স কলেজ মাঠে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো.আনিসুর রহমান, সংবর্ধিত অতিথি বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবীদ অধ্যাপক হাসিনা যাকারিয়া, শিশুমেলার মূখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মকবুল আহমেদ ও ইমাম প্রি ক্যাডেট স্কুল অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন।
এদিকে শিশুমেলাকে কেন্দ্র করে চিনাইল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনার্স কলেজ ও চিনাইর আঞ্জুমান আরা স্কুল প্রাঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেখানে শিশুদের জন্য শিশু একাডেমী-ইসলামিক ফাউন্ডেশন-পাক্ষিক মত ও পথ বইয়ের প্রদর্শনী,পিঠার স্টল এবং পুতুল নাচ, বানরের খেলার ব্যবস্থা করা হয়।
শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশুমেলার সভাপতি প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, শিশুদের মেধা ও যোগ্যতার যথার্থ বিকালে প্রত্যয় নিয়ে চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশুমেলা আমরা গত ১৭ বছর ধরে আয়োজন করে আসছি। সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগতভাবে শিশুদের মেধা যাচাই ও পরীক্ষা নেয়া-ফলাফল প্রদানের ব্যবস্থা করি আমরা। এবছর জেলার ৬৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৪২ জন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অংশ নিয়ে ৪৮ জন ট্যালেন্টপুলে এবং ৯২ জন জেনারেল গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল