ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কৃষক মো. হোসেন মিয়ার জমি থেকে পাঁচ কেজি ওজনের একটি মিষ্টি আলু তোলা হয়েছে। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা গ্রামের জমি থেকে এই মিষ্টি আলুটি তোলা হয়। কৃষক হোসেন মিয়া ওই গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে বিশাল আকৃতির এই আলু দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক মানুষ এসে তার বাড়িতে ভিড় জমায়।
বিশাল আকৃতির এই আলুটি বর্তমানে উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে সপ্তাহব্যাপী মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে।
কৃষক হোসেন মিয়া বলেন, তার ১৫ শতাংশ জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে সিন্ধি প্রজাতির লাল মিষ্টি আলুর লতা রোপণ করেন। আলুর লতা রোপণের ৬-৭ মাসের ব্যবধানে জমিতে ফলন হয়। সোমবার জমি থেকে আলু তোলার জন্য মাটি খুঁড়তে শুরু করেন। প্রথমে বুঝতে পারেননি এটি মিষ্টি আলু। পরে উৎসাহ নিয়ে আলুর চারদিক থেকে মাটি সরানোর পর অবাক হয়ে যান। বিশাল আকৃতির মিষ্টি আলুটি তোলা হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে ওজন করে দেখা যায় এই আলুর ওজন ৫ কেজি ১০০ গ্রাম।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাবলু মিয়া বলেন, উপজেলায় এত বড় ওজনের মিষ্টি আলু জমিতে চাষ হতে তিনি প্রথম দেখেছেন। খবর পেয়ে তিনি আলুটি দেখতে হোসেন মিয়া তার বাড়িতে এসেছেন।
শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, মেলায় গিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের স্টলে এই আলুটি তার নজরে পড়ে। প্রথমে বুঝতে পারেননি এটি আলু।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, সাধারণত আধা কেজি বা এক-দেড় কেজি ওজনের মিষ্টি আলু হয়ে থাকে। এটি আসলে ব্যতিক্রম হয়েছে। মূলত মাটির গুনাগুন ভালো হলে ফলন ভালো হয়ে থাকে। ফলন ভালো রাখতে কৃষকদেরকে সব সময় পরামর্শ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে আলুটি নিয়ে জেলা কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম