ময়মনসিংহের ভালুকায় গলায় ফাঁস দিয়ে দাখিল পরীক্ষার্থী নাছিমা খাতুন (১৭) ও কিটনাশক পানে সুমি আক্তার (১৭) নামে দুই কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা দু’টি ঘটেছে গতকাল বুধবার উপজেলার সোয়াইল ও কৈয়াদী গ্রামে। এসব ঘটনায় মডেল থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার সোয়াল পানিবান্ডা গ্রামের আব্দুর রশিদ সিকদারের মেয়ে নাছিমা আত্মহত্যা করে।
স্থানীয়রা জানান, নিহতের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মনোয়ার হোসেন রবিনের ভিটায় রায়াত হিসেবে বসবাস করে আসছিলো। সম্প্রতি তার বিয়ে হয়েছিল।
নাছিমার পিতা আব্দুর রশিদ জানান, ২০/২২ দিন আগে নাছিমার বিয়ে হয়েছিল। ঘটনার সময় আমরা বাড়ি ছিলাম না।
অপরদিকে, উপজেলার কৈয়াদী গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে সুমি আক্তার কিটনাশক পান করে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। খোঁজ পেয়ে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলেই সুমি মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে সুমির বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহের জেরে হয়তো সে বাবার বাড়ি এসে আত্মহত্যা করেছে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি, তবে এসব বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা