লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শিশুপুত্র মেহেদি হাসান ও তার মা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রোকসানা আক্তার নিখোঁজের একদিন পরও উদ্ধার হয়নি। ঘরের মেঝেতে রক্ত লেগে থাকায় ঘটনাটি রহস্যজনক মনে করছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রামগতি থানার ওসি আলমগীর হোসেন। এর আগে বুধবার (১১ মে) দুপুর উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চরআফজল গ্রাম থেকে নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামীকে আটক করা হয়। আটক আনোয়ার চররমিজ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরআফজল গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় দিনমজুর।
পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে খাওয়া শেষে আনোয়ার ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রোকসানা ছেলে সন্তান নিয়ে একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে দুইজনের কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলে মেহেদিসহ রোকসানাকে বিছানায় দেখা যায়নি। এতে আশপাশে খুঁজেও তাদের সন্ধান মেলেনি। বিষয়টি প্রতিবেশিদেরকেও জানানো হয়। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন ঘরে এসে মেঝেতে রক্ত দেখতে পায়। এতে তারা তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে আলামত জব্দ করে তার স্বামী আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
প্রতিবেশীরা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ বিবাদ চলছিল। প্রায় সময় বাকবিতন্ডায় লিপ্ত থাকতো তারা। পরকীয়া প্রেমের টানে শিশুসহ রোকসানা পালিয়ে গেছে নাকি তাদের হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে এ নিয়ে রহস্য রয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ