১৯ মে, ২০২২ ১৪:৫৮

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ছাত্রীকে পিটিয়ে জখম, সহপাঠীদের প্রতিবাদ

পাবনা প্রতিনিধি

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ছাত্রীকে পিটিয়ে জখম, সহপাঠীদের প্রতিবাদ

স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে জখম করায় সহপাঠীদের প্রতিবাদ।

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পাবনার সুজানগরের সাতবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে এক বখাটে। এ ঘটনায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে বিচার দাবি করছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাতবাড়িয়া কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন বাদী হয়ে বখাটে মো. ফাহাদ মোল্লাকে আসামি করে সুজানগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত বখাটে ফাহাদ (১৭) সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ফকিরপুর গ্রামের মোহা. ফারুক মোল্লার ছেলে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বিদ্যালয়টির কয়েকশত শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়টির গেটে বিক্ষোভ শেষে মানববন্ধন করে। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেফতারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করতে চাই। স্কুলে যাতায়াতের সময় বখাটেদের উপদ্রব ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্কুলছাত্রী জানান, ফকিরপুর গ্রামের মোহা. ফারুক মোল্লার ছেলে ফাহাদ দীর্ঘদিন ধরে আমাকে উত্যক্ত করছিল। প্রায়ই স্কুলে যাতায়াতের সময় গতিরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। আমি এতে রাজি না হওয়ায় সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। বুধবার বান্ধবীদের সাথে স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার পথে সাতবাড়িয়া কলেজের সামনে আবারো ফাহাদ গতিরোধ করে নানা ধরনের প্রস্তাব দিতে থাকে। আমি এতে রাজি না হওয়ায় রাস্তা থেকে টেনে পাশে নিয়ে আমাকে লাথি মেরে ফেলেক দেয়। এরপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে জখম করে।

এ সময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে বিদ্যালয়ের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বখাটে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

সাতবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাল উদ্দিন বলেন, এমন বর্বোরোচিত হামলার ঘটনায় ঘৃণা জানিয়ে ওইদিন রাতেই আমি নিজে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। তাদের মধ্যে এক ধরনের ট্রমা কাজ করছে। আমরা কাউন্সিলিং করে তাদের স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।

সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানা আক্তার বলেন, আঘাত গুরুতর হলেও এখন ওই শিক্ষার্থী আশঙ্কামুক্ত। আপাতত হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, মামলাটি দায়ের হওয়ার পর পরই ওই বখাটেকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। রাতে কয়েকটি স্থানে অভিযান করেও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর