দেশের ধান ও চালের বড় মোকাম নওগাঁয় বেড়েছে প্রকারভেদে সব ধরনের পাইকারি ও খুচরা চালের দাম। ঈদের পর প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা আর খুচরা বাজারে ৪ থেকে ৫ টাকা।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিঘা প্রতি ৫/৭ মণ ধানের উৎপাদন কমে গেছে। সাথে শ্রমিকের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে চালের দাম বেড়েছে। ঈদের পর প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা আর খুচরা বাজারে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ বস্তা প্রতি বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
নওগাঁর খুচরা চাল ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ ও অখিল চন্দ্র জানান, ঈদের আগে কাটারিভোগ প্রতি বস্তা ছিল ২৫০০-২৬০০ টাকা সেখানে বর্তমান বাজারে ২৮০০-২৮৫০ টাকা, জিরাশাইল প্রতি বস্তা ছিল ২৫০০ টাকা বর্তমান বাজারে ২৮০০-২৮৫০ টাকা এবং সর্টার চাল ছিল ২৭৫০ টাকা বর্তমান বাজারে ২৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে প্রতি কেজিতে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। আর বাজারে চালের আমদানি নাই।নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিঘা প্রতি ৫/৭ মণ ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ায় পাশাপাশি শ্রমিকের খরচ বেড়ে গেছে। ঈদের আগে স্বর্ণা ছিল ৪০ টাকা কেজি বর্তমানে ৪২-৪৩, জিরাশাইল ছিল ৫২-৫৩ টাকা বর্তমানে ৫৪-৫৫ টাকা, কাটারিভোগ ছিল ৫৫-৫৬ টাকা বর্তমানে ৫৬-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।
নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঈদের পর থেকে আকাশ খারাপ হওয়ায় কৃষকদের কাছ থেকে মিলাররা ধান কিনে মিলে নিয়ে শুকাতে পারছে না। তাই বাজারে চালের আমদানি একেবারেই কম হওয়ায় বাজারে চালের দাম একটু বেশি। চলতি বছর নওগাঁ জেলায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই