ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামের ১৭ বছরের এক কিশোরীকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তিন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায়। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে বাড়ির পাশের একটি পাটক্ষেতে হাত-মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তারা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বজনরা জানান, চরযশোরদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পথিক তালুকদারের আপন ভাই পলাশ তালুকদারের শ্যালক নাফিজ মোল্লা (২০) কিছুদিন ধরে ওই কিশোরীকে নানাভাবে বিরক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিশোরী এ বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি স্থানীয় মাতুব্বরদের জানালে ক্ষিপ্ত হয় নাফিজ মোল্লা।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে কিশোরীটি বাড়ির পাশে মাঠে গেলে নাফিজ মোল্লার নেতৃত্বে শাওন মোল্লা (১৮) ও সাগর (২০) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা একটি পাটক্ষেতে নিয়ে কিশোরীটিকে হাত-মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে সেখানেই ভর্তি রয়েছে কিশোরীটি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বখাটে তিন যুবককে আটক করে তাদের কঠোর বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয়রা।
কিশোরীর স্বজনদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় বখাটে নাফিজ মোল্লা কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। তাকে নিষেধ করা হলে সে দেখে নেবার হুমকি দেয়। সুযোগ বুঝে সে ও তার সহযোগীরা এ অপকর্মটি করেছে। আমরা তিন যুবকের কঠোর শাস্তি দাবী করছি। চরযশোরদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার বলেন, গ্রাম্য দলাদলির কারণে মেয়েটির পরিবার বিভিন্ন সময় অনেকের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে ৫বার এমন ঘটনা ঘটালো মেয়ে ও তার পরিবার। এটিও মিথ্যা অভিযোগ।
নগরকান্দা থানার ওসি মো. হাবিল হোসেন জানান, ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার রাতেই বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। মেয়েটিকে নিয়ে হাসপাতালে তারা ব্যস্ত থাকায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর