বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নান্না মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিপক্ষের মহিদুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন লোক ওই শিক্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর করে।
একপর্যায়ে বাড়ির পূর্ব অংশের জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এসময় শিক্ষকের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন বাড়িতে একা ছিলেন। তিনি দখলে বাধা দিতে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করেন। হামলার খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক নান্না মিয়া বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে গেলে তাকেও মারার জন্য তেড়ে আসে তারা। এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক।
এদিকে, প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবর শুনে বিদ্যালয় ছুটির পর বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ ছাত্রছাত্রী। তারা স্থানীয় রাজাপুর বাজারে মিছিল করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় প্রশাসনের কাছে।
প্রধান শিক্ষক নান্না মিয়া বলেন, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রতিয়া রাজাপুর গ্রামে ৮৩.৫০ শতক জমি কিনে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে ২০০৮ সাল থেকে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আমার বাড়ির মধ্যে জমি পাবেন বলে দাবি করেন একই গ্রামের আ. সামাদ হাওলাদারের ছেলে মহিদুল হাওলাদার। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে দুই দফা সালিশ বৈঠকে আমার পক্ষে রায় আসে। কিন্তু তারপরও জোরপূর্বক আমার বসতবাড়ির পেছনের অংশ দখলের চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ।
শিক্ষক নান্না মিয়া আরও বলেন, সকালে আমি বিদ্যালয়ে চলে যাই। বাড়িতে আমার স্ত্রী একা ছিলেন। এই সুযোগে ১৫-১৬ জন লোক আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাড়ির পেছনের অংশের সীমানার পিলার তুলে ফেলে এবং বেড়া ভাঙচুর করে। আমার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে। আমাকেও মারার জন্য ধাওয়া করে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের মহিদুল হাওলাদার জানান, তিনি শিক্ষকের বাড়ির মধ্যে জমি পাবেন। সেই জমি দেখতে গিয়েছিলেন। তারা কাউকে লাঞ্ছিত বা কোনো ভাঙচুর করেননি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য বিকেলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই