নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। নোটিশের জবাব ছিল সন্তোষজনক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আখাউড়া পৌর ও কলেজ কমিটি নতুন করে ঘোষণা দেওয়া হবে।
এর আগে, গত রবিবার আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন নয়ন পৃথক পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলার ধরখার, মনিয়ন্দ, উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন এবং পৌর ও শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে পৌর ও শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ কমিটি ঘোষণা করা গঠনতন্ত্র মোতাবেক উপজেলার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।
বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পৌর ও শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ কমিটি স্থগিত ঘোষণা এবং ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলু ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন নয়নকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার জেলা কমিটির। ওই দুটি কমিটি উপজেলা কমিটির সমমর্যাদার। এক্ষেত্রে উপজেলা কমিটি আমাদের সাথে কোনো ধরনের পরামর্শ না করে এ দু’টি কমিটি দিলে উপজেলা সভাপতি ও সম্পাদককে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
তিনি বলেন, তাদের জবাব ছিলো সন্তোষজনক। ওই দুটি কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার যে তাদের নেই, সেটি জানতেন না বলে জবাবে উল্লেখ করে ক্ষমা চান তারা। যে কারণে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশটি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। অচিরেই ওই দুটি কমিটি জেলার মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই