১৮ ঘণ্টা পর বগুড়ার আদমদীঘি থেকে অপহৃত হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে মূল অপহরণকারী সোহাগ হোসেন ও তার বোনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে বগুড়া সদরের চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে সোহাগ হোসেন ও তার বড়বোন সুমি আক্তার।
জানা যায়, উপজেলার কোমারপুর গ্রামের দীঘিরপাড়ার সৌদি প্রবাসী মিলন হোসেনের মেয়ে (১৭) দুপচাঁচিয়ার তালোড়া জামিয়া রহমানিয়া মহিলা মাদ্রাসার মেসকাত বিভাগে পড়াশোনা করেন। এদিকে একই গ্রামের সোহাগ হোসেন বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিলে বিষয়টি সোহাগের পরিবারকে অবহিত করা হয়। এতে সোহাগ হোসেন আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়।
ঈদুল আজাহার ছুটিতে মাদ্রাসা ছাত্রী বাড়িতে আসে এবং গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই ছাত্রী তার নানির বাড়ি যাওয়ার সময় তাকে একটি পুকুরপাড় থেকে সোহাগ হোসনেসহ অপর সহযোগীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একই গ্রামের সামছুল হকের ছেলে সোহাগ হোসেন (১৯), তার বোন সুমি আক্তার (২৫) ও জালাল উদ্দিনের ছেলে রনিকে (১৭) আসামি করে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বগুড়া সদর চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার এবং মূল অপহরণকারী সোহাগ ও তার বোন সুমিকে গ্রেফতার করে।
আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ ও গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই