বগুড়ার গাবতলীতে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গাবতলী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের তল্লাতলা গ্রামের মৃত মজিবর রহমান আকন্দ’র ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন আকন্দ বাদী হয়ে গাবতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে তার মেয়ে মীম আকতারের সঙ্গে (২৫) একই উপজেলা কালাইহাটা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল করিম মন্ডলের ছেলে মোঃ ইব্রাহীর আলী মন্ডলের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে প্রথমে ৭৫ হাজার ও পরে আরো ৩০ হাজার টাকা দেয়। তাদের সংসার জীবনে মিজান (৪) ও আঃ সোবাহান (৬ মাসের) ২ ছেলের জন্ম হয়। তার পরেও স্বামী ইব্রাহীম যৌতুকের জন্য স্ত্রী মীমকে চাপ প্রয়োগসহ শরীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। এর এক পর্যায়ে গত পাঁচ মাস পূর্বে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালিয়াহাতী গ্রামে স্ত্রী মীম এর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ ঘটনায় মীম আকতার বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন আইন দমন আদালতে একটি মামলা দয়ের করে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
গত ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টায় স্বামী ইব্রাহিমসহ কয়েকজন প্রথম স্ত্রী মীমকে মারপিট করে ঘরে আটকে রাখে। আটকে রাখার খবর পেয়ে মীমের বাবা আনোয়ার হোসেন এসে স্বামী ইব্রাহীম মন্ডলসহ মীমকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মীম আকতারকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় মৃত মীম আকতারের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে, জামাই ইব্রাহিম মন্ডলসহ একই গ্রামের করিম মন্ডল ও রেজাউল মন্ডলকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মীমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মীমকে হত্যার অভিযোগ এনে পিতা আনোয়ার হোসেন আকন্দ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আসামি ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম