পূর্ণিমা জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সকালে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সৈকতের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব এবং পূর্ণিমা জোয়ারের কারণে গত তিন দিন ধরে সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সৈকতে বিশাল আকৃতির ঢেউ সৈকতে আঁচড়ে পড়ছে। গত তিন দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অন্তত ১০টি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। জোয়ারের পানি সৈকতে পর্যটকদের জন্য রাখা চেয়ারের জায়গা ডুবে বিভিন্ন মার্কেটের কাছাকাছি চলে এসেছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সটি জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে একেবারে ভেঙে পড়েছে। ঢেউয়ের তোড়ে সৈকতের বালিয়াড়ি ভেঙে পড়ায় পর্যটকদের বসার কিটকট বা ছাতা চেয়ার গুলো একেবারে সৈকতের পাড়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জোয়ারের পানিতে সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক এবং স্থানীয়রাও শঙ্কার মধ্যে পড়েছে। সৈকতে বসার জায়গা এবং সৈকতের বিশালতা সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, 'সাগর উত্তাল থাকার কারণে পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সচেতনতা অবলম্বনের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে সৈকতের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার জানিয়েছেন, পূর্ণিমা জোয়ারের কারণে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সৈকতের ভাঙন রোধে স্থায়ী একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কয়েক দিনের এই ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও টিউব দিয়ে কক্সবাজার সৈকতকে রক্ষার কাজ শুরু করা হবে। কয়েক দিনের মধ্যে সৈকতের যে সব পয়েন্টে বেশি ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন