দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্তের ভিড়ে মুখরিত কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া লালন আখড়াবাড়ি। লালন তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে ফকির-বাউল, গুরু-শিষ্য, ভক্ত আর দর্শনার্থীদের আনন্দ-উল্লাসে পুরো এলাকা এখন মহা-উৎসবে পরিণত হয়েছে। লালন মঞ্চে সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই উৎসব শেষ হবে বুধবার।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আখড়াবাড়ি সংলগ্ন কালীগঙ্গা নদীর মাঠে লালন মঞ্চে আলোচনা সভা ও লালন সংগীত পরিবেশিত হয়। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমীর সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মুনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, পৌর মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, নাগরিক কমিটির আহবায়ক ডা. এস এম মুস্তানজিদ, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগর প্রমুখ।
এদিনে প্রধান আলোচক হিসেবে লালন দর্শনের আলোকে বক্তব্য রাখেন লালন একাডেমির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ চৌধুরী। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিদের আলোচনা শেষে লালন একাডেমি ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত খ্যাতনামা শিল্পীদের পরিবেশনায় রাতভর লালন সংগীত অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রচলিত আনুষ্ঠানিক আয়োজনের বাইরে প্রিয় মহামতি লালনের ওফাত দিবসকে ঘিরে প্রতিবছরই ভক্ত আশেকান অনুসারীরা ছুটে আসেন সাঁইজির এই তীর্থধামে। পরম গুরুভক্তির আস্বাদনে গানের বাণীতে তৃষ্ণার্ত ও অস্থির আত্মার শান্তি পাওয়ার টানে ছুটে এসেছেন তারা। প্রতীক্ষিত এই দিনটিতে সাঁইজির বাণীর পরশ পাওয়ার ব্যাকুল বাসনায় দুই একদিন আগেই ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে ঠাঁই নিয়েছিলেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/এএম