কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার থেকে পাচারকালে নাফনদীর কেওড়া বাগান থেকে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকার স্বর্ণ ও কারেন্ট জাল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় একজন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। সে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ উত্তর পাড়ার মো. জাকারিয়ার ছেলে মো। ইয়াছ নূর (২২)। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদে জানা যায় বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র বিআরএম-৩ হতে ৭০০ গজ উত্তর দিকে ওবিএম পোস্ট এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে বিজিবি জওয়ানদের একটি বিশেষ টহলদল এবং শাহপরীরদ্বীপ বিওপি হতে একটি চোরাচালান দমন টহলদল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে সেখানে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। রাত আটটার দিকে টহলদল একজন ব্যক্তিকে নাফ নদীতে মৎস্য আহরণ শেষে জাল হাতে নিয়ে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্র তার হাতে থাকা জাল ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালোনোর চেষ্টা করলে টহলদল তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। তাকে তল্লাশী করে তার কোমরে অভিনব পদ্ধতিতে ফিটিং অবস্থায় নেটের জাল ও টেপ দিয়ে মোড়ানো ২টি স্বর্ণের বারের বেল্ট এবং ৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে বেল্টগুলো খুলে ২০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৩ কেজি ৩২০ গ্রাম। যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত আরও দুই জন চোরাকারবারীকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল টেকনাফ কাষ্টম অফিসে এবং স্বর্ণের বার সমূহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা এবং আটককৃত আসামি ও ২ জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে সরকারী কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ