বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক লীগ নেতা সামছুদ্দিন শেখ হেলালসহ তার স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। তিনটি মামলায় পৃথক করে আসামি করা হয়েছে সামছুদ্দিন শেখ হেলাল, তার স্ত্রী মোছা. হেলেনা পারভীন ও পুত্র হোসাইন হাবীবকে।
দুদক বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, একটি মামলায় হেলালের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া আর ১ কোটি ২ লাখ টাকারও বেশি সম্পদ তার দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জম জম ওরফে নাজীর কাছে স্থানান্তরের অভিযোগ করা হয়েছে দুদকের মামলায়।দ্বিতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলালের স্ত্রী মোছা. হেলেনা পারভিনকে। মামলায় সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য ও ভিত্তিহীন ঘোষণা দিয়ে ২ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় তার বিরুদ্ধে একই দিনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
তৃতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলালের ছেলে হোসাইন হাবীবের বিরুদ্ধে। মামলায় সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য ও ভিত্তিহীন ঘোষণা দিয়ে ২ কোটি ৮০ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় তার বিরুদ্ধে একই দিনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদক বগুড়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, সামছুদ্দিন শেখ হেলাল তার স্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনটি মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করা ও মিথ্যা তথ্য ঘোষণা প্রদান করায় মামলা তিনটি করা হয়েছে। তিনটি মামলারই তিনি বাদী। এর আগে ২০২১ সালের ২৫ মে সামছুদ্দিন শেখ হেলাল ও তার স্ত্রী, পুত্র তাদের সম্পদ বিবরণী জমা প্রদান করেন। জমাকৃত সম্পদ বিবরনীতে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত