দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠেছে ভোলার ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের সকল মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানই ক্রেতায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কারোরই যেনো দম ফেলার সময় নেই। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে মার্কেটগুলোতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। বৈশাখের শুরুতে অতিরিক্ত গরম থাকলেও ব্যবসা ভালোই হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এবারের ঈদ বাজার ইতোমধ্যে পুরোপুরি জমে উঠেছে। ২০ রমজানের পর থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে। এখন সকাল ১০টা থেকেই বিক্রিতে ধুম লেগে যায় ভোলার মার্কেটগুলোর ছোট বড় সকল দোকানে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটে দু'ধাপে বিক্রি হচ্ছে। দিনের প্রায় পুরো সময়টা গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা মার্কেট দখল করে রাখেন। অপর দিকে শহরে কিংবা শহরের আশপাশের ক্রেতারা মার্কেটে আসেন সন্ধ্যার পর। যার কারণে ভোলায় ঈদ বাজারে দিনে ও রাতে সমানতালে বিক্রি চলছে। এ ভিড় সাধারণত কাপড় ও তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে বেশি হচ্ছে। তবে প্রসাধনী আর জুতোর দোকানগুলোতেও প্রচুর ক্রেতা সমাগম ঘটছে।
ক্রেতারা জানান, নিজের পছন্দের জিনিস কিনতে পেরে সন্তুষ্ট। পোশাকের পাশাপাশি জুতা, মেহেদী, চুড়িসহ প্রসাধনীও কিনছেন তারা সমান তালে। তবে দামটা তুলনামূলক বেশি বলে অনুযোগ রয়েছে ক্রেতাদের।
বিক্রেতারা জানান, সম্প্রতি ঢাকার বঙ্গবাজার এবং নিউ সুপার মার্কেট পুড়ে যাওয়ায় দামের উপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তারপরও দাম খুব একটা বেশি রাখা হচ্ছে না বলে দাবি বিক্রেতাদের।
ভোলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মার্কেটগুলোতে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোন ধরনের অসুবিধা না হয়, সেজন্য ইতোমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল