ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। যা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এই দুই দেশের সম্পর্ক আত্মত্যাগের সম্পর্ক। দুই দেশের নাগরিকদের বন্ধন ব্যক্তিগত সম্পর্কের, যা দুই দেশের নাগরিকদের অটুট সম্পর্কের ধারাবাহিকতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বর্তমান সময়ের মতো এমন অটুট সম্পর্ক বজায় থাকলে দুই দেশই বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রণয় ভার্মা।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নেতৃবৃন্দ, আমদানি-রফতানিকারক, সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বর্তমানে ৩৬টি বন্দর চালু রয়েছে। এছাড়া আরও ৪টি বন্দর চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মহদীপুর-সোনামসজিদ স্থলবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করছে। তবে এসব উন্নয়নকাজ মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর থেকে এসব উন্নয়নকাজ আবারও শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক পথ ছাড়াও বিকল্প বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়ন করা হচ্ছে। রেলপথে দুই দেশের যোগাযোগ বাড়াতে কাজ করা হবে। যা দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, আগামীতে দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সহধর্মিণী মানু ভার্মা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শিমুল আহমেদ শিমুল, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) মনোজ কুমার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পোর্ট ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী জোবায়ের আহমেদসহ অন্যরা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের সাথে মতবিনিময় করে ফিরে আসেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত