ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১১ গ্রামের মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইস্রাফিল মোল্লা।
জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করে। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ওই ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ধলেরচর গ্রামের কিছু মানুষ একই সাথে ঈদ উদযাপন করেন। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।
আজ শুক্রবার সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজ আদায়কারী আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধলেরচর গ্রামের কিছু লোকজন একদিন আগে রোজা ও দুইটি ঈদ পালন করে থাকেন।
তিনি আরো জানান, সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে এসব ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তিনটি জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ইতিমধ্যেই নামাজ সেখানে আদায় হয়েছে সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ১১টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে জামায়াত শেষ হয়েছে।
এখানে নামাজ আদায়কারী আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলেরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কার জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আমরা আগে তিনগ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে ধলেরচর মাদ্রাসা ঈদগাহ নামাজ আদায় করতাম। আমাদের ইমাম অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মারা যাওয়ার পর থেকে এখানে আর জামায়াত হয় না। আমরা ধলেরচর গ্রামের কিছু লোকজন বোয়ালমারীর সহস্রাইল এসে নামাজ আদায় করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ