চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাদক ব্যবসায়ী কিতাব আলী (৪৫) হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা রহস্য উদঘাটন করে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দামড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩৮), রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৪) ও লোকনাথপুর গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান (২০)।
পুলিশ সুপার জানান, উপজেলার কাদিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কিতাব আলীর মরদেহ গত বুধবার সকালে কাদিপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। কিতাব আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কে বা কারা কাদিপুর গ্রামের একটি ঘাষের মাঠে ফেলে রাখে। বুধবার সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরদিন বৃহস্পতিবার দামুড়হুদা থানায় নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে রহস্য উদঘাটন করে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর ও মো. হাফিজুর বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন আলীর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, ঘটনার রাতে নিহত কিতাব আলী ও মামলার আসামিরা কাদিপুর গ্রামের মাঠে (ঘটনাস্থলে) বসে মাদক সেবন করছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরে মামলার গ্রেফতারকৃত আসামিরা কিতাব আলীর কাছে থাকা হাসুয়া কেড়ে নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃত তিনজন আসামির সকলকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আরাফাত