বড় উৎসব ঈদ-উল ফিতর আবার ঘুরে এলো। দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত মানেই দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের লাখো মুসল্লির জামাত। ঈদুল ফিতরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত। উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ ময়দানে পবিত্র ঈদের জামাত এর সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আবারও লাখো লাখো মুসল্লির পদভারে মুখরিত হবে। ঈদের দিন সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এবারও ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী।
এরই মধ্যে গোর-এ শহীদ ঈদগাহ বড় ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমুলক সভা হয়েছে। নামাজের উপযোগী এবং দৃষ্টিনন্দন করতে রংসহ বিভিন্ন কাজ সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এবার আয়োজকরা আশা করছেন, ৬ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে এবং এটিই হবে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত।
সর্ববৃহৎ এ ঈদগাহ মিনারের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী এবং ব্যবস্থাপনার কমিটির প্রধান উপদেষ্ঠা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ আর নেই। ৫২ গম্বুজ বিশিষ্ট নান্দনিক সৌন্দর্যমন্ডিত গোরে শহীদ বড় ময়দানে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মিনারের ঈদুল ফিতরের বিশাল জামায়াতে এবার প্রায় ৬ লাখের অধিক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করবেন আশা করি। এখানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, পুরো ইদগাহ জুরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবে। সকাল ৭টা থেকে মুসুল্লিরা মাঠের প্রবেশ পথ দিয়ে আসবেন। মোট ১৯টি গেট মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শুধুমাত্র জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করবেন মুসুল্লিরা। থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। মাইক বসানো হবে ১১০টি। এছাড়া ইমাম সাহেবকে সহযোগিতা কারার জন্য বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে ৫ শতাধিক মুক্কাবির নিয়োজিত থাকবেন। স্বাস্থ্য ক্যাম্প, ওজু করতে যেন অসুবিধা না হয় এজন্য ২৫০টি ওযুখানা এবং পানি খাবার ব্যবস্থা রাখা হবে।
এ ছাড়া মাঠে প্রবেশের বিভিন্ন পথে টহল পুলিশ ছাড়াও সাদা পোষাকে এবং পুলিশ ছাড়াও র্যাবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও নিরাপত্তায় সক্রিয় দায়িত্ব পালন করে। ঈদ জামাতটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকি, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মোঃ জয়নুল আবেদীন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশের ডিডি মোস্তাফিজুর রহমান, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, দিনাজপুর ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান কাশেমী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল্লাহ মাজহারি প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ