শরীয়তপুরের সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে দক্ষিণ চরসুন্ধি গ্রামে এক গার্মেন্টস কর্মী ধষর্ণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পারিবার সূত্রে জানা জানা গেছে, চাচাতো বোনের বিয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই গার্মেন্টস কর্মী। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে বাইরে ওৎ পেতে থাকা জুয়েল ফরাজী ও সুমন বয়াতি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে মারপিট করা হয়।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানায় ভিকটিমের বাবা ইউপি সদস্যসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন মোহাম্মদ জুয়েল ফরাজী, মো. সুমন বয়াতি, মোহাম্মদ ইয়াসিন বয়াতি, মো. শাহিন সরদার, মো. খোকন সরদার, মো. রাসেল সরদার, মোহাম্মদ মিজান ঢালী (৪৫ )। আরো অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভিকটিমের বাবা।
ভিকটিমের বাবা বলেন, ১ নং বিবাদীর বোন ফাতেমা বেগম এর একতলা দালান ঘরে পশ্চিম পাশের রুমে নিয়ে যায় এবং আমার মেয়ের বান্ধবীকে পার্শ্ববর্তী রুমে বসিয়ে রেখে আমার মেয়েকে মোঃ জুয়েল ফরাজী (২৪) ও মো. সুমন বয়াতিসহ (১৮) সাত আটজন অজ্ঞাতনামা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এরপর ভিডিও করে, ভয় ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আমার মেয়ে অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
পালং মডেল থানা (ওসি) অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেন বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি শুনেছি এবং মামলা নিয়েছি। ভিকটিমের বাবা সাতজনকে আসামি করে ধর্ষণ আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে এক ইপি সদস্যসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ভিকটিম শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল