আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের অ্যাম্বুলেন্স ঈদের আগে হস্তান্তর হচ্ছে না। উপহার হিসেবে পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি ঈদ উল আজহায় হস্তান্তর করার কথা থাকলেও নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে সেটি করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন, হিরো আলম।
হিরো আলম বাংলাদেশ প্রতিদিন কে জানান, উপহার হিসাবে পাওয়া গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসাবে ব্যবহার করা হবে গরিব এবং দুঃস্থ মানুষদের জন্য। এটিতে বিনামূল্যে রোগী এবং মৃতদেহ বহন করা হবে। গরীব মানুষদের বিনামূল্যে সেবা দেয়ার জন্য উপহারের গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরিত করার কাজ এখনও চলছে। আসন্ন ঈদের সময় এটি হস্তান্তর করা কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনসহ নানা ব্যবস্তার কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করতে আরো সময় লাগবে। আমি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছি, থাকবো। যতটুকু পারি সেবা করে যাবো। আমি দেশের মানুষের দোয়া নিয়ে বাঁচতে চাই। তাই যতদ্রুত সম্ভব অ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করে বিনামূল্যে গরীব ও অসহায় মানুষদের সেবা করে যাবো। অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যবহৃত জ্বালানি খরচ ও চালকের বেতন হিরো আলম ফাউন্ডেশন থেকে বহন করা হবে।
এর আগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি হিরো আলমকে উপহার হিসেবে টয়োটা নোয়াহ ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটি উপহার হিসেবে দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। গাড়িটি পাওয়ার পরপরই সেটিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের ঘোষণা দেন হিরো আলম। তিনি গাড়িটি নিয়ে আসার পর জানতে পারেন, গাড়িটির ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত। ওই বছরের ১৫ জুলাই গাড়ির ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এ কারণে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে হিরো আলমকে দিতে হবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা। তিনি বগুড়া শহরের বকশিবাজার এলাকায় ‘ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টার’ নামের ওয়ার্কশপে গাড়িটি মেরামতের জন্য দেন। বর্তমানে সেখানে গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্সে রুপান্তরের কাজ চলছে।
হিরো আলম জানান, বড় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন মুখলিছুর রহমান। এই গাড়িটিকে আমি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরিত করছি। বগুড়ার দরিদ্র পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে বা মারা গেলে এই গাড়িটি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গত ১৫ জুন নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকা আগারগাঁয়ে জমা দেন। জমা দেয়ার পর ১৮জুন হিরো আলমের প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। তিনি ঐদিন নির্বাচন কমিশনে তার প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেন। তিনি বলেন নির্বাচন কমিশন যদি তার প্রার্থীতা ফিরে না দেন তাহলে আগামী রবিবার উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
হিরো আলমের অভিযোগ, গত উপ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে তাকে নানা কৌশলে পরাজিত করা হয়েছে। অথচ ফলাফল ছিলো তার পক্ষে। তিনি আবারো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন মানুষের ভালোবাসার প্রমাণ দিতে। মানুষ তাকে ভালোবাসে। এই ভালোবাসর কারণে তিনি সংসদ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন।
উল্লেখ্য, দেশের আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম এর আগে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল