বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বন্যার আতঙ্কে অপরিপক্ক পাটগাছ কাটছেন কৃষকরা।
দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলাগুলোর পাট চাষীরা তাদের জমিতে বেড়ে ওঠা অপরিপক্ক পাটগাছগুলো কাটতে শুরু করেছেন। কৃষকরা বলছেন এভাবে যদি পানি বাড়তে থাকে তাহলে দু একদিনের মধ্যেই খাল-বিল পানিতে ডুবে যাবে। এতে সম্পূর্ণ পাটগাছ নষ্ট হতে পারে। কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধিতে এ উপজেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকদের নীচু জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এসব ফসলের মধ্যে বেশির ভাগই পাট ক্ষেত।
সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের কৃষক শহীদ মিয়া জানান, যমুনার চরে পারতিত পরল গ্রামের সামনে চাকুরিয়া খাল নদীতে ১২ শতক জমিতে পাট চাষ করেছি। সবেমাত্র পাটগাছগুলো বেড়ে ওঠা শুরু করেছে। পাট গাছগুলো ৬ থেকে ৭ ফুট লম্বা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো এখনো পরিপক্ক ও ভালোভাবে পাটের আঁশ তৈরি হয়নি। গত কয়েকদিন ধরেই পানি বাড়ছে। এভাবে পানি বাড়লে রাতের মধ্যেই খাল-বিল পানিতে ডুবে যাবে। পাটগাছ পানিতে তলিয়ে যাবে। তাই অপরিপক্ক পাটগাছই কাটা শুরু করেছি। আমার মতো এই এলাকার অনেকেই পাটগাছ কাটা শুরু করছেন।
জানা যায়, গত কয়েকদিনে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বগুড়ার তিনটি উপজেলার চরে বসবাসরত মানুষ তাদের পরিবার পরিজন, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গৃহপালিত পশু পাখি নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন জানান, গত কয়েকদিনে পানি বেড়ে আমার বাড়ির চারপাশ ডুবে গেছে। বাড়ির উঠানে পানি ছুঁই ছুঁই করছে। বাড়ীর প্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র এবং গৃহপালিত পশুপাখিগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে নিয়ে যেতে গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছি। এভাবে পানি বাড়লে রাতের মধ্যেই বাড়ি-ঘর ডুবে যাবে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় মঙ্গলবার ও বুধবার পানি কম বেড়েছে। আশা করা যাচ্ছে দুই একদিনের মধ্যেই পানি স্থিতিশীল হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম