শরীয়তপুর জেলা শহরের একটি ইটভাটা থেকে হৃদয় খান নিবিড় (১১) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে পালং মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
হৃদয় খান নিবিড় (১১) উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকার মনির খান ও নিপা আক্তার দম্পত্তির ছেলে। সে স্থানীয় শিশু কানন কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে নিবিড়ের মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে ৩১ জুলাই বিকালে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- পাবনা জেলার সিংগা বাজারের ছব্বুর মিয়ার ছেলে সিয়াম (২০), শরীয়তপুরের খিলগাঁও গ্রামের জলিল গাজীর ছেলে শাকিল গাজী (১৮), আমির হোসেন গাজীর ছেলে তুহিন গাজী (১৫), শাওন (১৭)। এর মধ্যে সিয়াম হল অপহরণের স্বীকার নিবিড়দের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো স্কুল থেকে ফিরে খেলাধুলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় নিবিড়। এরপর তাকে আর খুঁজে পায়নি তার পরিবার। সন্ধ্যার দিকে হৃদয়ের মা নিপা আক্তারের মোবাইলফোনে কল করে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে হৃদয়ের পরিবার থানা পুলিশকে জানায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ সোমবার সকাল ছয়টার দিকে বাড়ির ৫০০ মিটার দূরে পরিত্যক্ত জমিতে (এমকেবি ইটভাটার সংলগ্ন) মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে। অপহরণকারীদের একজন গত চার বছর যাবত নিবিড়দের বাড়ির টিনশেড ঘরে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, এই ঘটনায় চারজনকে গ্রাফতার করা হয়েছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা লাশ উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতার করেছি। মামলাটি তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। কিশোরদের মধ্যে বিভিন্ন ফ্যান্টাসি থাকে, আপনার জানেন কিশোররা বিভিন্ন সিরিয়াল ও ক্রাইম পেট্রল দেখে তারা এমন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমার কাছে এমনটিই মনে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম