বরিশালে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে শনিবারও বরিশাল বিভাগের ৭টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের শনিবারের পরিসংখ্যান বিশ্লেষনে দেখা যায়, ভোলার তজুমুদ্দিনে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং এই দুই নদীর পানি দৌলতখান উপজেলায় বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বিষখালী নদীর পানি যথাক্রমে বরগুনা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, পাথরঘাটা পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঝালকাঠি পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ও বেতাগী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় ধর্মগঞ্জ নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি প্রবাহিত হয় ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। বেতাগী পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বুড়িশ্বর নদীর পানি বাকেরগঞ্জ পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং আমতলীতে এই দুই নদীর পানি প্রবাহিত হয় ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
লোহালিয়া নদীর পানি কাটিপাড়া এলাকায় বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বাবুগঞ্জে সুগন্ধা নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, স্বরূপকাঠী পয়েন্টে সন্ধ্যা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বরিশাল নগরী ঘেষা কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবাহিত হয় ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। এছাড়া অন্যান্য নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম