তর্কের জেরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ছয় মাস আগে দায়ের কোপে আহত হয়েছিলেন অটো রিকশা চালক সেলিম মিয়া (৬০)। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বুধবার রাতে মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ নেত্রকোনা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা চেষ্টার মামলার তিন আসামি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে একজন এখন পলাতক।
জানা গেছে, উপজেলার মাঘান গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে অটোরিকশা চালক সেলিম মিয়া গত ৪ এপ্রিল বাড়ি থেকে দুপুরে বের হন। বড়ির সামনের সড়কে আড়াআড়ি একটি ইটের ট্রলি দেখে ক্ষিপ্ত হন অটোরিকশা চালক সেলিম। সড়ক বন্ধ দেখে ট্রলির মালিক রাইস উদ্দিনকে বকাবকি করলে দুজনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাইস উদ্দিনের শালা নুর আলম ঘর থেকে কুড়াল নিয়ে এসে সেলিমের ঘাড়ে একটি কোপ দেন। আহত সেলিমকে উদ্ধার করে প্রথমে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরদিন অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে এক মাস সাত দিন চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও বিছানা থেকে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারতেন না সেলিম। এমনকি সোজা হয়ে শুতেও পারতেন না। ডান অথবা বাম কাত হয়ে শুয়ে থাকতেন সব সময়। এভাবে দীর্ঘদিন শুয়ে থাকায় শরীরের ডান ও বাম পাশে পচন ধরে গভীর ক্ষত হয়ে অবশেষে গত বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল সেলিমের ছেলে হাবিল মিয়া ওরফে হাবীব বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। একই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার নুর আলম, তার বাবা সিরাজ মিয়া, স্ত্রী বিউটি আক্তার ও বোন জামাই রাইস উদ্দিনকে আসামি করা হলেও পলাতক নুর আল ছাড়া বাকি তিন আসামি মামলার পরেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেয়।
মোহনগঞ্জ থানার এস আই কানাই লাল চক্রবর্তী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বের করা হত্যা চেষ্টা মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপ নেবে। এছাড়াও পলাতক আসামি নুর আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল