মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের সামনে নির্মিত ব্রিজটি কোনো কাজে লাগছে না। ৫৫ লাখ টাকায় নির্মিত চল্লিশ ফুট উচ্চতার এই সেতুটি এখন হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন দুপাশে কোন সংযোগ সড়ক নেই, দীর্ঘদিনে কোনো পরিকল্পনাও করা হয়নি, তা হলে কেন এই সেতু। গুরত্বপূর্ণ রাস্তার মাঝে উচ্চতর সেতুটি দেখে গাড়ি চালকরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানান, অপরিকল্পিত সেতুর কারণে একপাশ থেকে অন্যপশের যানবাহন দেখা যায় না। যার ফলে প্রতিনিয়ন ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এটি যদি কোনো কাজেই না আসে তাহলে সড়ক থেকে এটিকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ঘিওর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসাদ দিপু বলেন, এক যুগ আগে ঘিওরের সেতুটি নির্মিত হলেও এটি কোন কাজে লাগেনি। ব্রিজটির দুইপাশে মাটি ভরাট করে বিকল্প রাস্তার সংযোগ দিলেই এটি কার্যকর হবে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ঘিওর থেকে পুরান ধলেশ্বরী নদীর ওপর তৈরী করা বেইলী ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কটি সোজা করতেই সেখানে একটি নতুন সড়ক এবং একটি আন্ডার পাস নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিলো। প্রকল্প অনুযায়ী সেখানে একটি আন্ডার পাস তৈরী করা হলেও জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে সেখানে সড়কটি করা সম্ভব হয়নি। একারণে পরবর্তীতে প্রকল্পটি স্থগিত হয়। অকেজো হয়ে পড়ে থাকে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আন্ডার পাস।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউন-উল হাসান মারুফ বলেন, সরকার যখন কোনো প্রকল্প হাতে নেয় তা অবশ্যই জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু কখনও কখনও নানা সমস্যার কারণে তার সুফল পাওয়া যায় না। নদীর ওপর স্থাপিত বেইলী ব্রিজের অ্যাপ্রোচের সাথে বিদ্যমান আঁকা-বাঁকা সড়কটিকে সোজাকরণের জন্য ওই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিলো। প্রকল্প অনুযায়ী আন্ডার পাসটি নির্মাণ হলেও জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় নতুন সড়কটি করা সম্ভব হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল