আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ঘটবে পূজার সমাপ্তি। এ উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলার ৭৯টি মণ্ডপে দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
জানা যায়, দেবীদুর্গা অসুর দমনের শুভ শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্যই দশহস্তে দেবী দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আগমন করেছিলেন। এরই ধারাহিকতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষগুলো প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। এবার জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৭৯টি পূজা মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকরা বলেন, এ বছর ঘোড়ায় চড়ে দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে মর্ত্যলোকে আগমন করবেন এবং ফিরবেনও ঘোড়ায় চড়ে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এরপরও থেমে নেই তাদের আয়োজন। রকমারি আলোকসজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো হচ্ছে পূজা মণ্ডপ ও তার আশপাশ এলাকা। সব মিলে উৎসবের রংয়ে সেজেছে লক্ষ্মীপুর।
স্থানীয় ভক্ত ও প্রতিমা কারিগররা জানান, লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শহরের বেশ কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ও প্রতিমা শিল্পীরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। কেউ প্রতিমায় তুলির শেষ আঁচড় দিচ্ছেন, কেউ মণ্ডপের সাজসজ্জায় ব্যস্ত। এরই মধ্যে বেশিরভাগ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি ও মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তার সাথে চলছে প্যান্ডেলের সাজসজ্জা ও প্রতিমা সাজানোর কাজ। ভক্তদের আশা, দেবী দুর্গার আশীর্বাদে দেশে শান্তি বজায় থাকবে এবং বিশ্ব, সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু শিমুল সাহা জানান, মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় ইতিমধ্যে সবগুলো প্যান্ডেল সিসি ক্যামরার আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা হিন্দু সম্প্রদায়ের।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, দুর্গোৎসব সফল করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ দফায় দফায় বৈঠক করছেন আয়োজকদের সঙ্গে। পূজার নিরাপত্তায় প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ও মণ্ডপ ভিত্তিক টহল টিম গঠন করা হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই