চাঁদপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে মন্দিরগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। শেষ সময়ে কারিগররা প্রতিমায় রং-তুলি ও সাজসজ্জায় কাজ করছেন।
পূজা পরিষদের নেতারা বলছেন, দুষ্কৃতিকারিদের চিহ্নিত করতে এবার মণ্ডপগুলোকে শতভাগ সিসি-টিভি’র আওতায় আনা হয়েছে। তবে কোনো দুস্কৃতিকারি যাতে সামাজিক মাধ্যমে গুজব বা ঊস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি নষ্ট করতে না পারে, সে লক্ষ্যে পাঁচ স্তরের আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান।
কারিগর গোবিন্দ পাল ও জীবন্ত পাল বলেন, দেবী দুর্গার অনিন্দ সুন্দর রুপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমার রং তুলি ও সাজসজ্জার কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। পূজার আগের দিন সকল প্রতিমা ডেলিভারী দিতে হবে। শিল্পীরা আহার-নিদ্রা পরিহার করে শেষ মূহূর্তে প্রতিমায় রঙ-তুলির আঁচড় ও সাজসজ্জার ধুম চলছে। তবে কারিগররা বলছেন, এবার প্রতিমার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতিমার দামও আকার ভেদে ৫/১০ হাজার টাকা বেড়েছে।
পুরোহিত স্থিরাত্মা নন্দা বলেন, এবার মায়ের আগমন ও গমন ঘোটকে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজারীরা যাতে পূজা উদযাপন করতে পারে সেই দাবি জানান তিনি।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ বলেন, এবার মণ্ডপগুলোতে শতভাগ সিসি-টিভি স্থাপন করা হয়েছে। অশুভ শক্তি যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। এবার চাঁদপুর সদরসহ ৮ উপজেলায় ২২৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর উদযাপিত হয়েছিল ২শ’ ১৯টি। যা গত বছরের চেয়ে ৫টি বেশী।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজাকে সুন্দর ও শুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি-টিভি স্থাপন করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে গুজব বা উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি যাতে নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য পাঁচ স্তরে নিরাপত্তা বাহিনী সাজানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল